0
ক্রিপার
ইতিহাসের প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস হিসেবে বিবেচনা করা হয় এটিকে। ১৯৭১ সালে বিবিএন টেকনোলিজসের বব টমাস পরীক্ষামূলকভাবে ক্রিপার ভাইরাসটি বানান। গণিতবিদ জন ভন নিউম্যানের তত্ত্ব পরীক্ষা করতে বানানো এ ভাইরাসটি টেনেক্স অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিইসি পিডিপি-১০ কম্পিউটারে সংক্রমণ ঘটান তিনি। পরে এই ক্রিপারকে মুছে ফেলতে রিপার প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়।
এল্ক ক্লোনার
১৯৮১ সালে মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার রিচার্ড স্ক্রেন্টা এ ভাইরাস বানান। তখন মোটে ১৫ বছর বয়সের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। অ্যাপল ২ সিস্টেমের জন্য তৈরি এই ভাইরাসটি মজা করার জন্য তৈরি হলেও ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পরেছিল।
ব্রেইন
পাকিস্তানের লাহোরে ১৯ বছর বয়সী প্রোগ্রামার বাসিত ফারুক আলভি আর তার ভাই আমজাদ ফারুক আলভির ১৯৮৬ সালে বানানো বুট সেক্টর ভাইরাস ‘দ্য ব্রেইন’ পাকিস্তানি ব্রেইন বা পাকিস্তানি ফ্লু নামেও পরিচিত। আইবিএমের পিসিতে চলার জন্য তৈরি ভাইরাসের মধ্যেও প্রথম এটি।
আইলাভইউ
এটি লাভ লেটার, ভিবিএস বা লাভ বাগ ওয়ার্ম নামেও পরিচিত। ২০০০ সালের ৫ মে কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিশ্বব্যাপী কয়েক লাখ উইন্ডোজ কম্পিউটারে ছড়িয়ে পরেছিল এটি। ফিলিপাইনের এক কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ের শিক্ষার্থীর বানানো এই ভাইরাসটি একটি অ্যাটাচমেন্টসহ ইমেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরতো। ।
পিকাচু
পোকি ভাইরাস বা পিকাচু ভাইরাস নামে পরিচিত এ ভাইরাসটি প্রথম শিশুদের লক্ষ্য করে বানানো কম্পিউটার ভাইরাস। জাপানি কার্টুন চরিত্র পিকাচুর ছবির সঙ্গে একটি বিশেষ প্রোগ্রামড ফাইল ইমেইল করা হতো। এটি উইন্ডোজ ৯৫, উইন্ডোজ ৯৮ আর উইন্ডোজ মিতে আক্রমণ করে সি ড্রাইভ থেকে কনটেন্ট মুছে ফেলতে সক্ষম ছিল।
কনফ্লিকার
উইন্ডোজ ২০০০ থেকে শুরু করে উইন্ডোজ ৭ বেটা ওএস চালিত ৯০ লাখ থেকে দেড় কোটি কম্পিউটার শিকার হয়েছিল এই ভাইরাসটির। এর হামলার শিকার ফরাসি নৌবাহিনী, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, নরওয়ে পুলিশ বিভাগের কম্পিউটার সিস্টেমসহ বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে মাইক্রোসফট এ ভাইরাস প্রতিরোধে কেবি৯৫৮৬৪৪ সফটওয়্যার প্যাচ ইসু করে।
ক্রিপ্টোলকার
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আবিষ্কার হওয়া এই ট্রোজান হর্স ভাইরাস কোনো কম্পিউটারে ঢোকার পর তার হার্ডড্রাইভের ফাইলগুলো এনক্রিপ্ট করে তার ডিক্রিপশন কি ভাইরাস প্রোগ্রামারের কাছে পাঠিয়ে দিত। এরপর ওই প্রোগ্রামার এনক্রিপ্ট করা ফাইলের ডিক্রিপশন কির বদলে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ‘মুক্তিপন’ আদায় করতো।
রেজিন
২০১৪ সালে আলোচনায় আসে বিভিন্ন ভুয়া ওয়েব পেইজের মাধ্যমে ছড়ানো এই ট্রোজান হর্স ভাইরাস। একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে এটি চুপিসারে নিজের এক্সটেনশন ডাউনলোড করে নিত। এটি অ্যান্টি-ভাইরাসের মাধ্যমে শনাক্ত করাও কঠিন ছিল। ধারণা করা হয়ে থাকে এই ভাইরাসটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্য সাইবার নজরদারির উদ্দেশ্যে বানিয়েছিল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.