ঘরে বসে ইচ্ছেমতো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে অনেকেই এখন নির্ভর করেন ওয়াই-ফাই রাউটারের উপর। আসবাবপত্র থেকে করে প্রতিবেশীর ওয়াই-ফাই সিগনাল ঝামেলা পাকাতে পারে নিজের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে। তবে সহজ কিছু পদক্ষেপে অনেকটাই সমাধান করা সম্ভব দূর্বল ওয়াই-ফাই সমস্যার।
ঘরে বসে ইচ্ছেমতো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে অনেকেই এখন নির্ভর করেন ওয়াই-ফাই রাউটারের উপর। আসবাবপত্র থেকে করে প্রতিবেশীর ওয়াই-ফাই সিগনাল ঝামেলা পাকাতে পারে নিজের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে। তবে সহজ কিছু পদক্ষেপে অনেকটাই সমাধান করা সম্ভব দূর্বল ওয়াই-ফাই সমস্যার।
ওয়াই-ফাই সিগনালের পারফর্মেন্স চেক করুন: প্রথমেই যে কাজটা করা প্রয়োজন সেটা হলো নিজের ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের পারফর্মেন্স যাচাই করে দেখা। প্রতিবেশীও যতি ওয়াই-ফাই রাউটার ব্যবহার করেন তবে একে অপরের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে নেটওয়ার্ক দুটি।
ওয়াই-ফাই সিগনাল পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ‘inSSIDer’ অ্যাপটি। অ্যাপটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে কার্যকর সবগুলো ওয়াই-ফাই সিগনাল সম্পর্কে জানিয়ে দেবে আপনাকে। এছাড়াও স্পিড টেস্ট ফিচার আছে অ্যাপটিতে, যা জানিয়ে দেবে ওয়াই-ফাই সংযোগের গতি।
ঘরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার পরীক্ষা চালানোই হবে শ্রেয়। রাউটার থেকে দূরত্ব আর ঘরের আসবাবপত্রের উপর নির্ভর করে পরিবর্তন আসবে স্পিড টেস্টে।
সম্ভাব্য সমাধান: ঘরের কোথায় ওয়াই-ফাই সিগনাল দুর্বল সেটি একবার বের করে ফেললে সেই সমস্যার সমাধানটাও করা যাবে সহজে। ওয়াই-ফাই সিগনালের জন্য আরও শক্তিশালী ওয়াইফাই রাউটার লাগানো যেতে পারে যে কোনো সময়। কার্যকর বিকল্প হতে পারে নেটওয়ার্ক রিপিটার। একাধিক নেটওয়ার্ক রিপিটার বসিয়ে সমাধান করা যেতে পারে দুর্বল ওয়াই-ফাই সিগনালের।
আর আপনার বাসায় যদি দুটি একাধিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক থাকে তবে নেটওয়ার্ক দুটিকে একই এসএসআইডি দিয়ে জুড়ে দিতে পারেন একসঙ্গে। ফলে এক নেটওয়ার্ক থেকে আরেকটিতে পরিবর্তন সহজ হয়ে যাবে।
হার্ডওয়্যার: সোজা কথায় বলতে গেলে শক্তিশালী ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চাইলে কিছুটা বেশি করে হলেও খরচ করতে হবে গাঁটের পয়সা। সম্প্রতি নতুন একটি ডুয়াল-ব্যান্ড ওয়াই-ফাই রাউটার বাজারজাত করছে লিংকসিস। লিংকসিস ডব্লিউআরটি১৯০০এসিতে আছে ১.২ গিগাহার্টজের প্রসেসর, চারটি অ্যান্টেনা, ই-সাটা এবং ইউএসবি ২ ও ইউএসবি ৩ পোর্ট।
এ ছাড়াও আছে গিগাবিট ওয়ান পোর্ট এবং গিগাবিট ল্যান পোর্ট। লিংকসিস এবং বেলকিন দুটি প্রতিষ্ঠানেরই আছে ‘এক্সটেন্ডার’। সিগনাল শক্তিশালী করার পাশাপাশি ডেটা ট্রান্সফারের গতিও বাড়ায় এক্সটেন্ডারগুলো।
বাজেটে ওয়াই-ফাই: ওয়াই-ফাইয়ের পেছনে বাড়তি পয়সা খরচ করতে না চাইলেও সমস্যা নেই। সহজে ওয়াই-ফাই সিগনাল পাবার জন্য রাউটারটি বসাতে হবে বাসার কেন্দ্রিয় কোনো উঁচু স্থানে। আর কর্ডলেস ফোন থেকেও দূরে রাখতে হবে রাউটারটি।
আর ঘন ঘন নেটওয়ার্ক পাসওয়ার্ডও বদলে নিতে হবে। অন্যথায় প্রতিবেশী যদি বিনে পয়সায় আপনার ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালাতে থাকে, তবে সিগনাল দুর্বল হয়ে পরবে সিগনাল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 comments
Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.